ঢাকাঃ
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শাস্তি প্রত্যাহারের আশ্বাস দেওয়ার প্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। টানা কর্মবিরতিতে রোগীদের দুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তারা।আজ সকাল ১১টায় ধানমন্ডিতে স্বাস্থমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের বাসায় এক বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য সচিব পরীক্ষিত চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।এ সময় বাংলাদেশে মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ইকবাল আর্সনাল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সহ-সভাপতি ডা. তোফাজ্জেল হোসেন চয়ন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের তিনজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।বৈঠক শেষে স্বাস্থমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘটের কারণে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে, রোগীদের ভোগান্তিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আরও আগেই দুঃখ প্রকাশ করা উচিৎ ছিল।তিনি আরও বলেন, রেগীদের কথা বিবেচনা করে, তাদের অপরাধ ক্ষমা করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কাজে ফিরেছেন, তাদের স্বাগত জানাই।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের সভাপতি তাসনিম মাহমুদসহ ঢাকা শহরের কয়েকটি মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কয়েকজন নেতা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসায় গিয়েছিলাম। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি-দাওয়া উত্থাপন করেছি।তিনি আরও বলেন, বগুড়ার ঘটনায় ইন্টার্নরা যদি দোষী হয়ে থাকে সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর আরোপিত শাস্তি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শজিমেকে সিরাজগঞ্জ থেকে আসা রোগী আলাউদ্দিনের ছেলে ও ২ মেয়ে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কিছু বিক্ষুদ্ধ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে প্রহৃত হন।ইন্টার্ন চিকিৎসক রোগীর স্বজনের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ তুলে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।শনিবার ৩ সদস্যের তদন্ত দলটি শজিমেকে যায়। উচ্চ পর্যায়ের ওই কমিটি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনের আলোকে ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের শজিমেক শাখার সভাপতি ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. এম এ আল মামুন, সহ-সভাপতি ডা. আশিকুজ্জামান আসিফ, সাবেক সহ-সভাপতি ডা. কুতুব উদ্দিন ও ডা. নূরজাহান বিনতে ইসলাম নাজের ইন্টার্নশিপ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়।শাস্তি শেষে তাদের চারটি ভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ শেষ করতে হবে বলেও ঘোষণা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষিত শাস্তির বিষয়টি জানার পর হাসপাতালের ১৩০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক একযোগে কর্মবিরতি শুরু করেন।শুরুতে তারা অঘোষিতভাবে কর্মবিরতি অব্যাহত রাখলেও শনিবার মানববন্ধন কমসূচি পালনের মধ্য দিয়ে মূলত শাস্তি প্রত্যাহারের দাবির আন্দোলন প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। এরপর দেশের অন্যান্য মেডিকেল কলেজগুলোর ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও আন্দোলনে যোগ দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply